মালয়েশিয়ায় জালান বাতু লাউত কোতা বায়ুমাছ পাডামার কেলাং, সেলাংগার ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযানে ৫৫ জনকে গ্রেফতার করে। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশি ৩৪ , ইন্দোনেশিয়ার ১৯ , বাকিরা পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের নাগরিক। ১৭ জুলাই ( মঙ্গলবার ) রাত ১ টা থেকে সকাল ৩ টা পর্যন্ত অভিযান চালায় অভিবাসন বিভাগ। ওই অভিযানে ওই অভিযানে সর্বমোট ১০৯ জনকে গ্রেফতার করে। আটককৃতদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৫৫ জনকে গ্রেফতার করে অভিবাসন বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। এরপর ১৬ সালের ১৫ আগস্ট নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া।এ প্রক্রিয়া শেষ হতে না হতেই অবৈধদের জন্য ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। ৩০ আগস্টের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত না গেলে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে।
মোস্তাফার আলী জানান, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া যেসব মালিকরা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিয়েছেন বা পুনঃনিবন্ধন করায়নি তাদেরকেও গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হবে।তিনি বলেন, দেশে অবৈধ অভিবাসীর স্রোত ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিতেই হচ্ছে। এ সময় ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক আরও জানান, গত জানুয়ারির ১ তারিখ জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৯৭৯ জন বিদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৫৩৬ জন মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৯ হাজার ৮৫৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। বাকিদেরও শিগগিরই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তিনি জানান, আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ান। প্রতিবেশী এই দেশটির ৬ হাজার ৮৯৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ। ৬ মাসে ৩ হাজার ৯৭৫ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। ১ হাজার ৯৯৫ জন মিয়ানমারের নাগরিক।দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশিদের সংখ্যা । অনুসন্ধানে জানা গেছে , কাজের পারমিট অনুযায়ী কাজ না করায় গ্রেফতার হচ্ছেন বাংলাদেশি । এছাড়াও মাইজি করার পর অনেক এজেন্ট পালিয়ে যাবার পর ও অন্য এজেন্টের নামে ইমিগ্রেশনে রিপোর্ট না করার কারণেই বড় ধরনের গ্রেফতারের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশিরা ।